বিয়ে মানুষের জীবনের একটি পবিত্র সম্পর্ক কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই যার সমাপ্তি ঘটে তালাক নামক একটি অপ্রিয় পর্যায়ের মাধ্যমে যা কারো কাছেই কাম্য নয়।
বর্তমানে শহর ও গ্রামে বিগত বছরের যেকোনো সময়ের চেয়ে তালাকের হারও বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। শুধু শহরে এমন ঘটনা ঘটছে বিষয়টি তা নয়, গ্রামেও বেড়েছে তালাকের হার। পাশাপাশি বিচ্ছেদের হারও বেড়েছে। বর্তমানে তালাকপ্রাপ্ত এর সংখ্যা হলো ৭.৪ শতাংশ। যা ২০২১ সালে ছিল ৬.৫ শতাংশ। ২০২১ সাল থেকে ২০২২ সালে বিচ্ছেদ বেড়েছে ৯৩ শতাংশ। আর তালাক ০.৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ১.৪ শতাংশে এসেছে ২০১৬ সাল থেকে ২০২২ সালে।চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপে এই চিত্র উঠে এসেছে। বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস–২০২২ নামে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। এতে নমুনা হিসেবে তিন লাখের বেশি পরিবারের তথ্য নেয়া হয়েছে।
এত সংখ্যক তালাক হওয়ার অন্যতম মূল কারণ,সঠিক পাত্র বা পাত্রী নির্বাচন করতে না পারা এবং পাত্র-পাত্রী সম্পর্কে সঠিক তথ্যের অভাবই এক্ষেত্রে প্রধান। ১৫-২০ বছর আগেও দেখা যেত তথ্য় অনুসন্ধানের এই কাজটি করতেন পরিবারের মুরুব্বি বা গুরুজনরা। কিন্তু বর্তমানে গ্রাম ও শহর উভয় ক্ষেত্রেই একক পরিবারের সংখ্যা ও সকলের ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ায় এই অনুসন্ধান কার্যক্রমটিতে আগের মতো সময় দেওয়া হয় না। এই অবহেলার জন্য যেকোন সময় বিয়ের মতো সুন্দর সম্পর্ক পরিণত হতে পারে নিদারুণ বিভীশীকায়।সাবধানতাই যার একমাত্র সমাধান। অতি সম্প্রতি হুমায়রা গ্রুপ চাক্ষুস এরকমই একটি ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে।
নাদিয়া (ছদ্মনাম) একজন ৩১ বছর বয়সী অবিবাহিত সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে। সে পিতৃহীন। বিয়ে করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করায় সে পরিচিত ও স্বল্প-পরিচিত মানুষদের কাছে তার জন্য মানানসই একজন পাত্র খোঁজার জন্য বলে। তেমনই একটি মাধ্যম থেকে সে মাজহার নামে এক ব্যক্তির বায়োডাটা পায়। আপাতদৃষ্টিতে বায়োডাটাটি ছিল অনেক আকর্ষণীয়।তার বয়স ৩৭ বছর। মাজহার বায়োডাটায় নিজেকে একটি বড় কম্পানির ম্যানেজার হিসেবে পরিচয় দেন। তার বৈবাহিক অবস্থা ছিল অবিবাহিত এবং দেরিতে বিয়ে করতে চাওয়ার কারন হিসেবে তিনি তার পরিবারকে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল করতে চাওয়ার চেষ্টাকে তুলে ধরেন। বায়োডাটার সাথে তিনি নিজের কয়েকটি ছবি দেন যেখানে তার স্ট্যাটাস অনেক উচ্চ তা বোঝা যায়।
বায়ডাটা ও অন্যান্য সবকিছু পছন্দ হওয়ায় নাদিয়া বিষয়টি নিয়ে এগুতে চান এবং মাজহার নিজেও খুব আগ্রহ দেখান। নাদিয়ার মা তার আমেরিকা প্রবাসী ভাই কে এ বিষয়ে জানালে তিনি ছেলে সম্পর্কে আরও গভীর অনুসন্ধান করতে বলেন ও বিয়ের সিদ্ধান্ত আরও ভেবেচিন্তে নিতে বলেন। তথ্যের ভেরিফিকেশনএর জন্য তিনি হুমায়রা গ্রুপ এর সাথে যোগাযোগ করতে বলেন এবং তাদের ভেরিফিকেশন সার্ভিসটি নিতে বলেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় নাদিয়া আমাদের সাথে যোগাযোগ করেন।
এরপর হুমায়রা গ্রুপ তাদের দক্ষ ভেরিফিকেশন টিম নিয়ে মাঠে নামে। ব্যাপক অনুসন্ধানের পর জানা যায়, মাজহারের দেওয়া প্রতিটি তথ্যই মিথ্যা। সে আসলে একটি সাধারন কম্পানির পিওন মাত্র। এবং সে সোশ্যাল মিডিয়া সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়েদেরকে টার্গেট করে আগেও এরকম প্রতারণার ফাঁদ পাতে।
অতঃপর, দেশের দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে হুমায়রা গ্রুপের প্রধান মেজবাহ আহমেদ প্রতারক মাজহারকে পুলিশে সোপর্দ করেন। কিন্তু ক্লায়েন্ট নাদিয়া চাননি বিষয়টি নিয়ে আর এগিয়ে যেতে তাই থানা থেকে মুচলেকা নিয়ে প্রতারক মাজহারকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনাটি বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্র – পাত্রীর সকল তথ্য যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে সবার জন্য একটি বাস্তব শিক্ষা। আমাদের হুমায়রা গ্রুপের ভেরিফিকেশন সার্ভিসের উপর ভরসা রাখুন, পাত্র-পাত্রী নির্বাচনে নিশ্চিত থাকুন। অন্যথায় আপনার বা আপনার পরিবারের যেকোনো সদস্যের জীবনেও আসতে পারে এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত মানুষ।নিজে নিরাপদ থাকুন,অন্যকে নিরাপদে রাখুন।
বরপক্ষ বা পাত্রী পক্ষ বা তাদের অভিভাবক আমাদের হুমায়রা কোম্পানির ওয়েবসাইট বা অ্যাপের মাধ্যমেও আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন অথবা সরাসরি আমাদের অফিসে এসে আমাদের Pre Matrimonial Survey প্রতিনিধির সাথে কথা বলে যেতে পারেন। অফিসের ঠিকানা: Building #11, Road #4/1, Block #E, Rampura, Banasree, Dhaka – 1219. মোবাইল: (+88) 01953-336332