প্রতিবছর বাংলাদেশে এক থেকে দেড় লাখ বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে ডিভোর্সের সংখ্যা গতানুগতিক বছর গুলোর তুলনায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মূল কারণ, মূলত সঠিক পাত্র বা পাত্রী নির্বাচন করতে না পারা।
বাংলাদেশে অনেক বরপক্ষ এবং কনে পক্ষই আছেন যারা বিয়ের আগে তথ্য গোপন করে, এই ভয়ে যে একটি ভালো বিয়ে সম্বন্ধ যাতে হাতছাড়া না হয়ে যায়।
সেই সকল তথ্য যখন বিয়ের পর প্রকাশিত হয়ে যায়, তখন অনেক সময় বিয়ে ভেঙে যেতে পারে। বর্তমানে আপনার টিভি চ্যানেল মিডিয়াতে দেখলেও অনুভব করতে পারবেন, কি পরিমান তথ্য বিয়ের আগে গোপন হয়। যার কারণে বিয়ের পরে অশান্তি সৃষ্টি হয় বা ডিভোর্সের রূপ নেয় এবং সারা জীবনের জন্য একটি নীরব কান্না হয়ে যায়।


আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এই বিয়ে-শাদির গোয়েন্দা সেবা অত্যন্ত জনপ্রিয়।
বিয়ে-শাদী গোয়েন্দা সেবা কোন কোন ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়
১. অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ এর জন্য
২. লাভ ম্যারেজের জন্য
৩. ডিভোর্স ম্যারেজের জন্য
হুমায়রা কোম্পানি ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশের ওয়েডিং ইন্ডাস্ট্রিতে বিজনেস করছে। ২০১৭ সালের মাঝামাঝিতে আমরা বিয়ে-শাদির গোয়েন্দা সেবাটি বাংলাদেশে প্রথম চালু করি। বিয়ে-শাদীর গোয়েন্দা সেবা প্রথম দিকে বাংলাদেশে জনপ্রিয় ছিল না। কিন্তু বর্তমানে তা অত্যন্ত জনপ্রিয়।
বর্তমানে হুমায়রা কোম্পানির এজেন্ট বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় রয়েছে। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাস প্রতিনিধি রয়েছে এবং বিদেশেও (ইংল্যান্ড, আমেরিকা, কানাডা) আমাদের এজেন্ট রয়েছে।
পাত্র বা পাত্রী পক্ষ হুমায়রা কোম্পানির গোয়েন্দা সেবার সাথে যোগাযোগ করলে, আমরা তাদেরকে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট প্রদান করে থাকি। যেই রিপোর্টের মধ্যে উক্ত বাদী তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেওয়া হয়। রিপোর্টে যেসব তথ্য দেয়া হয়:

১. মামলা মোকদ্দামা ও ক্রিমিনাল কেস যাচাই
২. একাধিক বিয়ের তথ্য
৩. মাদকাসক্ত কিনা পেশাগত তথ্য যাচাই
৪. প্রতিবেশির নিকট থেকে তথ্য যাচাই
৫. স্যোশাল মিডিয়া ইনভেস্টিগেশন
৬. পরিবারের তথ্য যাচাই
৭. শিক্ষাগত তথ্য যাচাই
৮. লাইফস্টাইল ও জীবনযাপন
৯. ফ্রেন্ড সার্কেল যাচাই
এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাচাই করে দেওয়া একটি বরপক্ষ বা বা মেয়ে পক্ষ জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বিয়ের পর এই সকল তথ্য প্রকাশিত হলে, অনেক সময় ডিভোর্স হয়ে যায়।
হুমায়রা কোম্পানির গোয়েন্দা সেবার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব রয়েছেন একজন রিটায়ার্ড পুলিশ অফিসার এডিশনাল এসপি, মোহাম্মদ ইকবাল শাফি। তার নেতৃত্বে একটি দক্ষ টিম বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে রয়েছে। যা বর পক্ষ এবং কনে পক্ষকে একটি সঠিক তথ্য যাচাই-বাছাই করে রিপোর্ট আকারে প্রদান করে থাকে।
পাত্র-পাত্রী পক্ষ যখন তথ্য যাচাইয়ের জন্য অথবা গোয়েন্দা সেবার জন্য হুমায়রা কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে, তখন হুমায়রা কোম্পানি একটি নির্দিষ্ট ফি বিনিময়, নির্দিষ্ট সময় পরে রিপোর্ট প্রদান করে থাকে।
বরপক্ষ বা পাত্রী পক্ষ বা তাদের অভিভাবক আমাদের হুমায়রা কোম্পানির ওয়েবসাইট বা অ্যাপের মাধ্যমেও আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন অথবা সরাসরি আমাদের অফিসে এসে আমাদের গোয়েন্দা প্রতিনিধির সাথে কথা বলে যেতে পারেন। অফিসের ঠিকানা: Building #11, Road #4/1, Block #E, Rampura, Banasree, Dhaka – 1219. মোবাইল: (+88) 01953-336332
0 Comments